খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
  প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকিতে থেকে প্রস্তুতি না নেয় আত্মঘাতী : প্রধান উপদেষ্টা
  সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, জয়, রাদওয়ান মুজিব, আজমিনা ও রেহেনা সিদ্দিকের বারিধারা, খুলনা, গোপালগঞ্জের ৬ কোটি টাকার প্লট-জমি জব্দ ও প্রশাসক নিয়োগের আদেশ

শিশু রাহি হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় শিশু রাহি হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামিরা বাদী এবং তার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছি বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির আগরদাঁড়ি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন দরিদ্র অসহায় বাবা। গত ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাকের মাদকাসক্ত ছেলে রেজোয়ান কবির জনি কৌশলে আমার শিশু কন্যা নুসরাত জাহান (রাহি) (৯) কে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যার তার কানে থাকা দুটি স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে তার গায়ের গেঞ্জি ছিড়িয়ে হাত পা বেধে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি রেজোয়ান কবির জনিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে।

জবানবন্দিতে শিশু রাহিকে হত্যার পর তার কানে থাকা দুল ছিনিয়ে নিয়ে বুধহাটা বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে। ওই দোকানদারও দুল কেনার বিষয়টি স্বীকার করে।

রবিউল ইসলাম আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আসামি জনি কারাগারে থাকলেও সন্তানকে ছাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে তার বাবা আব্দুর রাজ্জাকসহ আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু জনির স্বীকারোক্তিসহ তথ্য প্রমান থাকায় তার জামিন হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে এবং আমার বৃদ্ধা মাসহ পরিবারের সদস্যদের খুনজখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে আসামির স্বজনরা। এমনকি মামলার স্বাক্ষীদেরকেও হুমকি দিচ্ছে তারা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি জনির বাবা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তার ভাই জেহের আলী, রাজ্জাকের ছেলে রনি আমাদের বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে আমার মাকে হুমকি দিয়ে বলে, মামলা তুলে না নিলে আরো একটি হত্যাকাণ্ড ঘটবে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে পুনরায় রাজ্জাকের নেতৃত্বে আতিয়ার সরদারের ছেলে মোস্তাক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় হত্যা মামলার স্বাক্ষীসহ আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি শিশু কন্যা রাহি হত্যার আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ফের প্রাণনাশের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!